আমেরিকা আর পেছনে তাকাতে চায় না, ভবিষ্যতের দিকে দেখতে চায়। বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পারস্পরিক আস্থা ফেরাতে চায়।

ঢাকায় দুদিনের সফর শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আমেরিকার মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদও তার সুরেই বলেছেন, বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় আমেরিকা। সেজন্য বহুমুখী সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

ঢাকায় আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা ডোনাল্ড লু’র সফরের দ্বিতীয় দিন বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সংগে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। সাক্ষাত শেষে দু’জনই আলাদা করে গণমাধ্যমের সংগে কথা বলেন ।

লু জানান, যুক্তরাষ্ট্র আর পেছনে তাকাতে চায় না বরং সম্পর্ক এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করতে চায় মর্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি বলেন গত দুই দিনে আমি দুই দেশের জনগণের মাঝে পুনরায় আস্থা স্থাপনের চেষ্টা করছি। আমরা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চেয়েছিলাম। এনিয়ে কিছু দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছিল। আমরা এখন সামনে তাকাতে চাই, পছনে নয়। সম্পর্ক জারদারের উপায় খুঁজে বের করতে চাই। ইতিবাচক সহযোগিতার ওপর ভর করে এগিয়ে যেতে চাই, যা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, আলোচনার মূল লক্ষ্যই ছিল সম্পর্ক উন্নয়ন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়েছে। আমেরিকা বাংলাদেশকে তৈরি পোশাক খাতে জিএসপি সুবিধা দিতে চায়। এজন্য শ্রম আইন সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

র‌্যাবের কয়েক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এ নিয়ে দুদেশের সম্পর্কে কোন প্রভাব পরবে না।

এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আর দিনের প্রথম ভাগে তিনি যান সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর দপ্তরে। সেখানে তারা জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।

সফর শেষে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতেই দেশে ফিরে যাবেন ডোনাল্ড লু।